ভালোবাসার এ শহরে,
রঙিন পরশে আলতো ছন্দে
কে যেন এঁকে দিল
স্বপ্ন কে -
আমার মনের দুনিয়া জুড়ে।।
সে যেন পরশমনি পাথর ছিল।
যার রঙিন ছোঁয়াতে,
অভিশপ্ত এ জীবনে-
মরুভূমির ক্যাকটাসের মত
সুখ বৃক্ষ ফুঁড়ে বেরিয়ে এল।
তার উজ্জ্বল জাজ্জ্বলমান উপস্থিতি
আমাকে ভাবায়, চিন্তায় মগ্ন করে-
আমাকে করে তোলে নিস্তব্ধ।
চিন্তায় বিভোর আমার শরীর কী যেন হাতড়ে বেড়ায় -
ব্যস্ত হয়ে কি যেন খুঁজে পেতে চায়, বুঝে উঠতে পারি না কী সেটি।
তার চোখের মণির দৃষ্টি,
বারংবার আমায় ক্ষত করে যায়
দুরন্ত বেগে ছুতে আসা তিরের মত।
আর সেই ক্ষত চিহ্নের মধ্যে দিয়ে-
আমি গড়ে তুলতে চাই, আমার ভালোবাসার কবিতার সৃষ্টি।
তার কোমল স্বরের তীক্ষ্ণ ধারালো প্রহার,
আমার শরীরের সমস্ত জড়তাকে ছিন্ন ভিন্ন করে তোলে।
তার আলতো ঠোঁটের লিপস্টিক, ঠোঁটের নিচের তিলের উপস্থিতি-
তার এক অবর্ণনীয় রূপের পরিচয় দেয়।
কত কী ঘটছে চারিদিকে-
তবু আজ আমি নিস্তব্ধ।
আমি নিস্তব্ধ হয়ে উপলব্ধি করতে চাই তাঁকে
গড়ে তুলতে চাই এক চিন্তা জগৎ-
যে জগৎ হবে নিস্তব্ধতায় পরিপূর্ণ।
আমি খুঁজে পেতে চাই আমার ভালোবাসা কে
এই নিস্তব্ধতার মধ্য দিয়ে-
আসলে নিস্তব্ধতার মধ্যে লুকিয়ে আছে প্রকৃত প্রেম
যেখানে অন্তরের উপলব্ধি ই প্রধান,
যে প্রেম, সেই প্রেম আমার নিস্তব্ধ প্রেম।।
--কলমে দৈপায়ান ভট্ট্যাচার্য
0 Comments: